ডাউনলোড করুন
কোরআন শরীফ: আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য সর্বোচ্চ দিশা
কোরআন—আল্লাহর কালাম; চিরন্তন, অবিকৃত ও আলোকিত দিশারী। এই নিবন্ধে আমরা কোরআনের মাহাত্ম্য, বৈশিষ্ট্য, উপকারিতা এবং আমাদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করব।
কোরআন শরীফের মাহাত্ম্য
কোরআন শরীফ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য নাজিলকৃত সর্বশেষ পবিত্র গ্রন্থ। এটি এমন এক আলোকবর্তিকা যা ঈমান, নৈতিকতা ও ন্যায়—সবকিছুর ভিত্তি সুদৃঢ় করে।
“নিঃসন্দেহে আমি কোরআন নাজিল করেছি এবং আমিই এর রক্ষক।”
কোরআন শরীফের অনন্য বৈশিষ্ট্য
১) অবিকৃত ও চিরন্তন
শতাব্দীর পর শতাব্দী কোরআনের কোনো পরিবর্তন হয়নি; উম্মাহ সমগ্র কুরআনের একটি নির্ভুল নাসখে সম্মত।
২) পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার দিশারি
ইবাদত, নৈতিকতা, অর্থনীতি, পারিবারিক ও সামাজিক বিধান—সব ক্ষেত্রের জন্য কোরআন সুস্পষ্ট নীতিমালা দিয়েছে।
৩) জ্ঞান ও চিন্তার প্রেরণা
আকাশ-জমিন, মানব-সৃষ্টি, নৈতিকতা ও ন্যায্যতার প্রশ্নে কোরআন মানুষকে চিন্তা ও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করে।
কোরআন পাঠ ও বোঝার গুরুত্ব
কোরআন তিলাওয়াত অন্তরে প্রশান্তি আনে, সংশোধনের প্রেরণা দেয় এবং সৎপথে দৃঢ় রাখে।
- আত্মার প্রশান্তি: আল্লাহর স্মরণে হৃদয় শান্ত হয় (সুরা রাদ: ২৮)।
- সওয়াবের ভাণ্ডার: প্রতিটি অক্ষরের তিলাওয়াতে নেকি বৃদ্ধি পায়।
- সঠিক পথের দিশা: কোরআন মানুষকে অন্যায় ও অবিচার থেকে ফিরিয়ে আনে।
আমাদের করণীয়
- প্রতিদিন অন্তত কিছু আয়াত তিলাওয়াত করা।
- অর্থ ও তাফসির বুঝে জীবনচর্চায় প্রয়োগ করা।
- পরিবার ও সমাজে কোরআনের শিক্ষা প্রচার করা।
- সমস্যা ও সিদ্ধান্তে কোরআনের নির্দেশনা অনুসন্ধান করা।
কোরআন ও আমাদের জীবনে প্রভাব
কোরআনের আলো আঁকড়ে ধরলে ব্যক্তি ও সমাজ—উভয়ই উন্নত হয়। মুসলিম ইতিহাসে অগ্রগতির পেছনে কোরআন-ভিত্তিক জ্ঞান, ন্যায়বিচার ও চরিত্র গঠনের ভূমিকা সুপ্রতিষ্ঠিত।
উপসংহার
কোরআন শরীফ শুধু ধর্মীয় গ্রন্থ নয়—এটি জীবনের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা। দুনিয়ায় শান্তি ও কল্যাণ এবং আখিরাতে সফলতা পেতে হলে কোরআনের দিশাই অবলম্বনীয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআনের আলোয় জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন—আমীন।

0 Comments